বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি– দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা খাদ্যশস্যের ভান্ডার হিসেবে বেশ সু-পরিচিত। এবার এই উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।
আওবহাওয়া অনুকূল আর বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মুক্ত ভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে। আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে সবদিক থেকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এর পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন শবজি রোপনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের ছোটমানুষমুড়া গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে হিরা-২ আগাম জাতের আমন রোপন করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন হারে ফলন পেয়েছেন। উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের খয়েরপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে ধানী গোল্ড জাতের আমন রোপন করেছেন।
তিনি বিঘা প্রতি ২২-২৪ মন হারে ফলন পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮-৯শ’ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন।
ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বিঘার খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু,কপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শবজি/ফসল রোপনের প্রস্তুতিও চলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকায় ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপন করা হয়। এর মধ্যে অনেক জমিতে আগাম জাতের হিরা-২ ও ধানী গোল্ডসহ অন্যান্য ধান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুটি সর্না, সর্না-৫, ব্রি-৩৪, ৫১, ৭১, ৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।